মাসিকের সময় নারীদের জন্য স্যানিটারি ন্যাপকিন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিচ্ছদ। সঠিকভাবে এটি ব্যবহার করলে সংক্রমণ, দুর্গন্ধ বা অস্বস্তি থেকে মুক্ত থাকা যায়। নিচে ধাপে ধাপে সঠিক ব্যবহার পদ্ধতি তুলে ধরা হলো—
|  | 
| স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি | 
1. সঠিক ন্যাপকিন নির্বাচন
- নিজের শারীরিক চাহিদা ও রক্তস্রাবের মাত্রা অনুযায়ী ন্যাপকিন বেছে নিন। 
- 
দিনে হালকা বা পাতলা, রাতে ভারী ফ্লো হলে বড় বা উইংসযুক্ত ন্যাপকিন ব্যবহার করা ভালো। 
2. ব্যবহারের আগে পরিচ্ছন্নতা
- ন্যাপকিন পরিবর্তনের আগে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।
- প্রয়োজনে হালকা গরম পানি দিয়ে যৌনাঙ্গ পরিষ্কার করুন (কঠিন রাসায়নিকযুক্ত সাবান ব্যবহার না করাই ভালো)।
3. ন্যাপকিন পরার সঠিক নিয়ম
- 
ন্যাপকিনের মোড়ক খুলে নিন। 
- 
আঠালো অংশটি অন্তর্বাসের ভেতরে ভালোভাবে আটকে দিন। 
- 
উইংস থাকলে তা পাশ দিয়ে মুড়িয়ে নিচে আটকান, যাতে ন্যাপকিন সঠিকভাবে বসে থাকে। 
- 
ন্যাপকিন যেন কুঁচকে না যায় বা নড়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। 
4. পরিবর্তনের সময়
- সাধারণত ৪–৬ ঘণ্টা পরপর ন্যাপকিন বদলানো উচিত। 
- 
রক্তস্রাব বেশি হলে আরও দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে। 
- 
দীর্ঘ সময় এক ন্যাপকিন ব্যবহার করলে জীবাণু জন্মাতে পারে, দুর্গন্ধ ও সংক্রমণ হতে পারে। 
5. ব্যবহৃত ন্যাপকিন ফেলার নিয়ম
- ব্যবহৃত ন্যাপকিন কাগজ বা মোড়কে ভালোভাবে মুড়ে ফেলুন। 
- 
কখনোই খোলা অবস্থায় ডাস্টবিনে ফেলবেন না। 
- 
টয়লেটে ফ্লাশ করা থেকে বিরত থাকুন, এতে পাইপলাইন বন্ধ হয়ে যেতে পারে। 
6. অতিরিক্ত যত্ন
- মাসিক চলাকালীন সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো অন্তর্বাস ব্যবহার করুন। 
- 
আঁটসাঁট বা নোংরা কাপড় এড়িয়ে চলুন। 
- 
দুর্গন্ধ বা অস্বাভাবিক স্রাব হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। উপসংহারস্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি মেনে চললে শুধু আরামদায়ক থাকাই নয়, স্বাস্থ্যও সুরক্ষিত রাখা যায়। নিয়মিত পরিবর্তন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সঠিকভাবে ফেলার অভ্যাস গড়ে তুললে মাসিককালীন সময়টি হবে আরও নিরাপদ ও নিশ্চিন্ত।